আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের কারণ

বিশ্ব আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করে সারা বিশ্বের লাখ লাখ নারীর সংগ্রামের ফলে; তাদের অধিকার পেতে।

কয়েক দশক ধরে সমতার উপর জোর দেওয়া সত্ত্বেও, মহিলারা এখনও দারিদ্র্যের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পুরুষদের তুলনায় কম আয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবস্থানে উপস্থিতি রয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই খআন্তর্জাতিক নারী দিবসএটি এমন একটি দিন যা নারীদের অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়।

অন্য কোন বিভাগ বিবেচনা না করে; যেমন জাতীয়তা, জাতিসত্তা, ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পরিবেশ।

শতাব্দীর শেষভাগে শ্রমিক আন্দোলনের কর্মকাণ্ডের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে এই দিনটির আবির্ভাব ঘটে বিশ উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ মহাদেশের কিছু অংশে।
সে ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের জন্য উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশে একইভাবে নারীদের জন্য এর নতুন বৈশ্বিক মাত্রা। এই উদযাপনকে নারীর অধিকারের জন্য সমর্থন জোগাড় করার এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণকে সমর্থন করার একটি সুযোগ তৈরি করে।

নারী দিবস পালনের কারণ

জাতিসংঘের ওয়েবসাইট (un.org) অনুসারে, 8 খ্রিস্টাব্দে হাজার হাজার নারীর দেশত্যাগের কারণে 1856 মার্চের পছন্দ; নিউ ইয়র্ক সিটির রাস্তায় যে অমানবিক অবস্থার মধ্যে তারা কাজ করতে বাধ্য হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে,

এই পদযাত্রাটি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের দৈনন্দিন কর্মসূচীতে কর্মজীবী ​​নারীদের ইস্যুটি উত্থাপন করতে উদ্বুদ্ধ করতে সফল হয়।

এই দিনের তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছিল যখন এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়েছিল 8 মার্চ, 1908 তারিখে, যখন 15000 নারী ভোটাধিকারের দাবিতে নিউইয়র্ক সিটিতে মিছিল করেছিল।

এবং কম কর্মঘণ্টা পেতে, হাজার হাজার টেক্সটাইল শ্রমিক নিউ ইয়র্ক সিটির রাস্তায় আবার বিক্ষোভ করতে ফিরে এসেছে

যাইহোক, এবার, তারা শুকনো রুটির টুকরো এবং গোলাপের তোড়া নিয়ে, প্রতীকী পদক্ষেপে, এবং তারা তাদের প্রতিবাদ আন্দোলনের জন্য বেছে নিয়েছে।

স্লোগান "রুটি এবং গোলাপ"। এবারের পদযাত্রায় কর্মঘণ্টা কমানো, শিশুশ্রম বন্ধ করা এবং নারীদের ভোটাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রুটি এবং গোলাপের প্রদর্শনী বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি উত্সাহী নারীবাদী আন্দোলনের সূচনা করে।

মধ্যবিত্ত নারীরা সমতা ও ন্যায্যতার দাবির তরঙ্গে যোগ দেওয়ার পর, তারা রাজনৈতিক অধিকার, বিশেষ করে অধিকারের দাবিতে স্লোগান তুলেছিল।

নির্বাচনে, এবং 1909 সালের নিউইয়র্কের বিক্ষোভের স্মরণে আমেরিকান নারী দিবস হিসাবে অষ্টম মার্চ উদযাপন শুরু হয়েছিল

আমেরিকান নারীরা অষ্টম মার্চকে নারী দিবস হিসেবে বরাদ্দ করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে চাপ দিতে অবদান রেখেছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সফলতার পর তিনি বৈশ্বিক পর্যায়ে নারী দিবস উদযাপনের জন্য বছরে একটি দিন বরাদ্দের জন্য আমেরিকান প্রতিনিধি দলের প্রস্তাব গ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রথম উদযাপন

প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস 8 মার্চ, 1909 আমেরিকায়, এটি জাতীয় মহিলা দিবস হিসাবে পরিচিত ছিল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আমেরিকান সোশ্যালিস্ট পার্টি নারীদের উদযাপনের জন্য এই দিনটি নির্ধারণ করার পর

নিউইয়র্কের গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের ধর্মঘটের একটি অনুস্মারক, যেখানে নারীরা কঠোর কাজের অবস্থার নিন্দা জানাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।

- ধারণার মালিক

একটি নারী দিবসের ধারণাটি আসে যখন এটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির "ওমেন'স ডেস্ক" এর নেত্রী ক্লারা জেটকিন নামে একজন মহিলার দ্বারা প্রবর্তন করা হয়েছিল।

জার্মানিতে, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি 1910 খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং এটি প্রস্তাব করেছিল যে প্রতিটি দেশ তাদের দাবি আদায়ের জন্য চাপ দিতে প্রতি বছর একটি দিন নারীদের উদযাপন করে।

প্রকৃতপক্ষে, 100টি দেশের 17 টিরও বেশি মহিলা তার প্রস্তাবে সম্মত হন এবং মহিলাদের অগ্রগতির জন্য বিভাগ গঠন করেন।

৮ই মার্চ

1911 খ্রিস্টাব্দে, এটি অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে 19 মার্চ প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছিল,

এরপর 8 খ্রিস্টাব্দে 1913 মার্চ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত এটি পালিত হয় এবং 1975 খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ এই দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।

জাতিসংঘ 1977 সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনকে গ্রহণ করে

যদিও ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা অনেক বছর পরেও হয়নি।

কারণ জাতিসংঘ 1977 সাল পর্যন্ত এই উপলক্ষটি গ্রহণ করতে সম্মত হয়নি, যখন আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি প্রস্তাব জারি করে বিশ্বের দেশগুলিকে বছরের যে কোনও দিন নারীদের উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মার্চের অষ্টম।

পরবর্তীকালে, সেই দিনটি নারী সংগ্রামের প্রতীকে পরিণত হয়, যেখানে সারা বিশ্বের নারীরা তাদের অধিকার ও দাবি আদায়ে বিক্ষোভে নামেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের লক্ষ্য অনেকগুলো লক্ষ্য, বিশেষ করে বিশ্বকে নারীর শক্তিশালী ও প্রভাবশালী অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেওয়া।

সমাজে, মহিলাদের অর্জন উদযাপন করা, লিঙ্গ সমতাকে সমর্থন করা এবং উত্সাহিত করা, মহিলাদের সমস্যাগুলিতে মনোযোগ দেওয়া।

আর প্রকাশের জন্য এই রংগুলো বেছে নেওয়ার রহস্য আন্তর্জাতিক নারী দিবসজাতিসংঘের ওয়েবসাইট (un.org) ব্যাখ্যা করেছে

কারণটি নিম্নরূপ: "ভায়োলেট ন্যায়বিচার এবং মর্যাদার প্রতিনিধিত্ব করে, সবুজ আশার প্রতীক, এবং সাদা বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে।"

আর্ট দুবাই মার্চে চালু হয়