অনেক অসুস্থতা ও ব্যস্ত জীবনের পর মিশরীয় অভিনেত্রী শ্বিকারের মৃত্যু

শিল্পী সুইকারের মৃত্যু আরব বিশ্বে তার ভক্তদের দুঃখিত করেছিল, কারণ ঘোষণা করা হয়েছিল যে তিনি আজ শুক্রবার, মিশরের রাজধানী কায়রোতে অসুস্থতার সাথে তিক্ত লড়াইয়ের পরে মারা গেছেন।

শ্বিকার ইব্রাহিম তোব থিকাল 1938 সালের XNUMXশে নভেম্বর একজন তুর্কি বাবা এবং সার্কাসিয়ান মায়ের কাছে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার দাদার ডাকনাম হল "টোব থিকাল", একটি তুর্কি উপাধি যা উচ্চ পদের লোকদের দেওয়া হয়েছিল, কারণ তার প্রপিতামহ এসেছিলেন উসমানীয় শাসনের দিনগুলিতে মিশরে যান এবং মোহাম্মদ আলীর সেনাবাহিনীতে একজন অফিসার হিসাবে কাজ করেছিলেন।পাশা এবং তার পিতা ছিলেন পূর্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে।

শ্বিকার বড় হয়ে হেলিওপোলিসে থাকতেন, এবং তার শৈল্পিক প্রবণতা চার বছর বয়সে প্রকাশ পেতে শুরু করে, এবং লায়লা মুরাদ এই সময়ে তার প্রিয় তারকা ছিলেন। তিনি তার সৌন্দর্যের দ্বারা আলাদা ছিলেন, তাই তার বাবা তাকে একজন ধনী যুবকের সাথে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পুরুষ, "ইঞ্জিনিয়ার হাসান নাফি" ষোল বছর বয়সে, এবং বিয়ের এক বছর পরে, তিনি তার কন্যা "মিন্না আল্লাহ" জন্ম দেন এবং তারপরে তার স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, যেখানে তিনি বিধবা এবং মা হন। আঠারো বছর বয়সে তার একমাত্র সন্তান, এবং দুই বছর পরে স্পোর্টিং ক্লাব তাকে বেছে নিয়েছিল এবং বিশ বছর বয়সে তাকে আদর্শ মায়ের মুকুট দেওয়া হয়েছিল, যেখানে তিনি তার মেয়েকে কাজ করেছিলেন, পড়াতেন এবং বড় করেছিলেন।

দূরত্ব শক যেটির মধ্য দিয়ে শ্বিকার বেঁচে ছিলেন, তিনি তার জীবন সম্পর্কে গুরুতরভাবে চিন্তা করেছিলেন এবং ফরাসি বিভাগের কলা অনুষদে যোগদান করেছিলেন এবং একটি চাকরি খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরিচালক হাসান রেদা তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাই তিনি মনোনীত করেছিলেন। তাকে আনসার অভিনয় গোষ্ঠীতে কাজ করার জন্য, যেখানে তিনি একাধিক নাটকে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং 1960 সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র "মাই অনলি লাভ" উপস্থাপনের জন্য আবদেল-ওয়ারেথ আসর এবং মোহাম্মদ তৌফিকের হাতে অভিনয়ের পাঠ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওমর শরীফ, নাদিয়া লোতফি এবং কামাল এল-শেনাভির সামনে।

Netflix-এ একটি মিউজিক্যালে রাজকুমারী ডায়ানার জীবন

  কিন্তু কাকতালীয় ঘটনা যা তার জীবনকে বদলে দেয় যখন তিনি 1963 সালে "দ্যা টেকনিক্যাল সেক্রেটারি" নাটকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত হন এবং অভিনেতা মিস্টার বদির তার সামনে চ্যাম্পিয়নশিপ উপস্থাপন করার কথা ছিল, কিন্তু তিনি হঠাৎ করেই যাত্রা করেন। অভিনেতা ফুয়াদ আল-মোহান্দেস অভিনীত কাজ পেতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত।

শ্বিকর ফুয়াদ আল মোহান্দেসের সাথে অনেক কাজ করেছেন এবং "আমি এবং তিনি এবং তিনি" নাটকের অভিনয়ের সময় তিনি তাকে মঞ্চে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী এবং তাদের প্রেমের গল্প বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল, এবং এমনকি বিচ্ছেদের পরেও, এই জুটি প্রেমের উপর জোর দিয়েছিল। শ্বইকার ইঞ্জিনিয়ার সম্পর্কে বলেছেন: “আমার একজন প্রেমিক, বন্ধু, স্বামী, ভাই এবং শিক্ষক ছিল এবং আমি ভেবেছিলাম যে আমিই তার জীবনের প্রথম এবং শেষ প্রেম, এমনকি যখন আমরা আলাদা হয়েছি, আমাদের সম্পর্ক শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তার জীবনে"। তাদের বিচ্ছেদের পরেও, অনেক লোক তাকে প্রস্তাব করেছিল, এবং তার প্রতিক্রিয়া সর্বদা ছিল, “যে আমাকে বিয়ে করবে সে ফুয়াদ আল-মুহান্দিসের চেয়ে কম নয়, এবং তার ছেলে মুহাম্মদ আল-মুহান্দিস বলেছেন যে তার বাবা শেষ পর্যন্ত শ্বাইকারের হাত থেকে খেতেন। তার জীবনের মুহূর্ত, এবং শ্বেকার স্ক্রিপ্ট লেখক মেধাত হাসানের সাথে তৃতীয় বিয়ে করেছেন, যিনি এটি সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলেননি।

ফুয়াদ আল-মোহান্দেসের সাথে তার মেলামেশার সময়কালে, এবং এমনকি বিচ্ছেদের পরেও, শ্বাইকার আল-মোহান্দেসের সাথে বিবাহ" এবং "বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষ" এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ উপস্থাপন করেছিলেন। এবং "12 আওয়ার ইভ", "শৈল্পিক সচিব", "মাই বিউটিফুল লেডি", "আমি, সে এবং সে" এবং "এটি সত্যিই একটি সম্মানজনক পরিবার", ষাট এবং সত্তর দশকের তারকাদের মধ্যে ছিলেন শইকার। একটি বিশেষ শৈলীর কৌতুক অভিনেতা এবং নাট্য শিল্পী, যিনি সিনেমা এবং থিয়েটারে স্টারডম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন, বাকি তারকাদের থেকে ভিন্ন, যারা সেই সময়ে সিনেমার প্রতি বেশি আগ্রহী ছিলেন।

গুজব যেগুলি তাকে প্রভাবিত করছিল তা সত্ত্বেও, শ্বিকার তার মেয়ে এবং নাতি-নাতনিদের সাথে একটি স্থিতিশীল পারিবারিক জীবন যাপন করতে থাকে এবং শিল্পকর্ম অনুসরণ করে, কিন্তু 2012 সাল থেকে কোনো শিল্পকর্মে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারপরে কোনো অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু সে ঘৃণা করে "অবসর" শব্দটি এবং অনুসরণ করে সন্তুষ্ট।তিনি প্রযুক্তি পছন্দ করেননি, তার একটি মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ছিল না।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, শ্বিকার অনেক স্বাস্থ্য ব্যাধির সম্মুখীন হয়েছে। 2016 সালে, তিনি একটি পেলভিক ফ্র্যাকচারে ভুগেছিলেন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়িতে ছিলেন। সেই সময়ে একটি টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে তিনি তার অবস্থাকে "বিদ্বেষজনক" বলে বর্ণনা করেছিলেন। যদিও শ্বিকর শুধুমাত্র তাকে স্বীকার করে তার ঘনিষ্ঠদের সাথে দেখা, নাবিলা ওবেদ এবং মারভাত আমিনের সাথে তার সম্পর্ক রয়ে গেছে যা শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।