ব্রণের ব্যাপকতা এবং এর প্রবণতা নিয়ে একটি গবেষণা

ব্রণের ব্যাপকতা এবং এর প্রবণতা নিয়ে একটি গবেষণা

ব্রণের সমস্যা তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রতি 1 জনের মধ্যে 5 জনকে প্রভাবিত করে। এই সাধারণ কসমেটিক সমস্যাটি মোকাবেলা করা সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক গবেষণায় এটিই প্রকাশ পেয়েছে এবং দেখায় যে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এতে বেশি সংবেদনশীল।

সিবাম নিঃসরণ, ব্ল্যাকহেডস এবং পিম্পল বৃদ্ধিকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্রণের সবচেয়ে বিশিষ্ট প্রকাশগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং 28,3% কিশোর এবং 16 থেকে 24 বছর বয়সী তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে এবং পরিণত পর্যায়ে এটি 19,3%কে প্রভাবিত করে। 25 থেকে 39 বছরের মধ্যে বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের)। এটি একটি ফরাসি গবেষণায় বলা হয়েছে, যার ফলাফল 18 মার্চ, 2024 এ প্রকাশিত হয়েছিল।

এর তথ্যে দেখা গেছে যে 23,6% মহিলা ব্রণে ভুগছেন, যেখানে পুরুষদের মধ্যে এই শতাংশ 17,5% এ পৌঁছেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এই প্রসাধনী সমস্যার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে কম ইউরোপে (9,7%) এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে (10,8%)। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভৌগোলিক অঞ্চলগুলি হল ল্যাটিন আমেরিকা (23,9%), তারপরে পূর্ব এশিয়া। (20,2%), আফ্রিকা (18,5%) এবং মধ্য প্রাচ্য (16,1%)।

সংখ্যা কথা বলে

আমরা যে সংখ্যাগুলি উল্লেখ করেছি তা গুরুতর বলে মনে করা হয়, বিশেষত যেহেতু এই সমস্যাটি, যা প্রসাধনী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর প্রভাব ফেলে৷ পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে 50% লোক যারা ব্রণতে ভুগছেন তারাও ক্লান্তিতে ভুগছেন, যখন তাদের মধ্যে 41% চুলকানি, খিঁচুনি, সংবেদনশীলতা বা ব্রণের সাথে ব্যথার কারণে ঘুমাতে অসুবিধায় ভোগেন। এটি লক্ষণীয় যে ব্রণ সহ 44% লোক তাদের ব্যয় সম্পর্কে আরও সতর্ক হন, তাদের মধ্যে 27% তাদের আগ্রহের কাজগুলি ছেড়ে দেন এবং তাদের মধ্যে 31% তাদের প্রকল্প পরিবর্তন করেন। এর মানে হল যে এই এলাকায় মনোবলও প্রভাবিত হয়, বিশেষ করে যেহেতু আক্রান্তদের মধ্যে 31% অন্যদের দ্বারা বহিষ্কৃত বা প্রত্যাখ্যান বোধ করে, তাদের মধ্যে 27% মনে করে যে লোকেরা তাদের স্পর্শ করা এড়ায় এবং তাদের মধ্যে 26% মনে করে যে লোকেরা তাদের কাছে যেতে অস্বীকার করে।

মনস্তাত্ত্বিক চাপের ভূমিকা

এই সমীক্ষাটি আরও ইঙ্গিত করে যে 40 থেকে 25 বছর বয়সী 40% মহিলাদের মধ্যে মানসিক চাপ ব্রণের একটি প্রাথমিক কারণ হতে পারে। কর্টিসল হরমোন, যা মনস্তাত্ত্বিক চাপের হরমোন নামে পরিচিত, যখন এর নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় তখন ব্রণ সৃষ্টি করে।

যেহেতু আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে স্ট্রেস বিরাজ করে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে অনেক মহিলাই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনজনিত রোগের কারণে এই সমস্যা হয়। যদি কিছু ধরণের ফাস্ট ফুড এবং মিষ্টি ব্রণের সমস্যা বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি এবং শারীরিক চাপ এক ধরণের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে যা ত্বকের অকাল বার্ধক্যে অবদান রাখে এবং ব্রণ সৃষ্টি করে।

2024 সালের জন্য মীন রাশির রাশিফল